আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর দল, শেখ হাসিনার দল। এখানে কোনো ধরনের পাল্টাপাল্টি রাজনীতি চলবে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে হলে দলীয় গঠনতন্ত্র মানতে হবে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির রাজনীতি করি। আওয়ামী লীগে কোনো পাল্টাপাল্টি রাজনীতি নেই।
নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, কয়েক মাস পরই জাতীয় নির্বাচন। এখন পাল্টাপাল্টি রাজনীতি, একে অন্যের গীবত বন্ধ করতে হবে। ব্যক্তিস্বার্থে দলের ইমেজ নষ্ট করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের শক্তি জনগণ, আমরা স্যাংশনকে ভয় পাই না। কাজেই আমাদের কোনো হুমকি দিয়ে লাভ নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বিদেশে গিয়ে কখনো খালি হাতে ফেরেননি। তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মানুষের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার সবশেষ বিদেশ সফরে এই কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সর্বসম্মতি ক্রমে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। অথচ এই কমিউনিটি ক্লিনিককেই বিএনপি-জামায়াত জোট পরিত্যক্ত করেছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা প্রমুখ।
Leave a Reply