শাহারিয়ারঃ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর সুজন হত্যা মামলায় জড়িত পলাতক অন্যতম প্রধান আসামী ইকবাল’কে রাজধানীর মিরপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরনসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ০৭.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার মিরপুর থানাধীন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার মামলা নং-১২, তারিখ-১২/০১/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা-দন্ডবিধি আইন ১৮৬০ এর ১৪৩/৩৪২/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯ সংযোজন দন্ডবিধি-১৮৬০ এর ৩০২; চাঞ্চল্যকর সুজন (৩০) হত্যা মামলায় জড়িত পলাতক এজাহার নামীয় আসামী মোঃ ইকবাল হোসেন (২৯), পিতা-মোঃ গোলাম হোসেন, সাং-মির্জাপুর মান্দারতলা, থানা-মহেশপুর, জেলা-ঝিনাইদহ’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম মোঃ সুজন (৩০) পেয়ারা ব্যবসার সাথে জড়িত। গত ১১/০১/২০২৪ ইং তারিখে ভিকটিম সুজনের সাথে আসামী ইকবালসহ অপরাপর আসামীদের সাথে পেয়ারা ব্যবসার দামদর নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। উক্ত বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন রাত ১০.১০ ঘটিকার সময় আসামী ইকবাল অন্য আসামীদের সহায়তায় ভিকটিম সুজনকে কৌশলে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার মির্জাপুর মান্দারতলা গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম সুজন মেহগনি বাগানে পৌছা মাত্র পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা আসামীরা ভিকটিমকে একটি মেহগনি গাছের সাথে বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে আসামী ইকবালসহ অপরাপর আসামীরা লোহার পাইপ এবং সুচালো বর্ষা দিয়ে ভিকটিম সুজনকে গুরুতর জখম করে এবং এলোপাথারি পিটিয়ে হাত পা ভেঙ্গে ফেলে। এরপর ভিকটিমের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে, যশোরে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মৃত্যুবরন করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। সে উক্ত হত্যাকান্ডের পর থেকে নিজেকে আইনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঢাকার মিরপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃআজ অমর ২১একুশে ফেব্রুয়ারি
Leave a Reply