পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় আদালতে হাজির করতে আদিয়ালা জেল প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইনজীবীরা দেখা করতে পারছেন না; আদিয়ালা জেল সুপারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হলে আদালত অবমাননার মামলার শুনানিতে আইএইচসি এই নির্দেশ দেন। যেখানে বলা হয়ে, ‘পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে আসুন, তিনি তার আইনজীবীদের সাথে একটি বৈঠক করবেন।’
এর আগে, কারাবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মে মাসে জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) সংশোধনী মামলায় একটি ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছিলেন।
তবে সবশেষ ইমরান খানে সঙ্গে কারাগারে দেখা করার পর পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা জেলখানায় খানের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আনেন। এছাড়াও ইমরান খানের মুক্তির দাবি করেন তারা। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ৬০টিরও বেশি সদস্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মুক্তি চেয়ে রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন।
তাদের চিঠিতে, ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন নীতিতে মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যেখানে তারা বলেছেন, ‘আমরা আপনাকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খানসহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন কমাতে পাকিস্তান সরকারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট সুবিধা ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অনুরোধ জানাতে লিখছি।’
এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার আদালতে ডাকা হয়েছে ইমরান খানকে। শুনানির সময়, বিচারপতি সরদার এজাজ ইসহাক খান বলেন, কোনো কারণে আদিয়ালা সুপারিনটেনডেন্ট খানের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে তাকে কারণ উপস্থাপন করতে হবে।
এছাড়াও কারা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি ইসহাক বলেন, ‘আদালত নিরাপত্তার হুমকি গ্রহণ করে না। আইনজীবীদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি, এটি আদালতের অবমাননা।’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন সরবরাহ করতে এবং সঠিক হুমকি কী ছিল তা ব্যাখ্যা করার জন্য কারা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।