শরিফুল ইসলাম রবিনঃ রাজধানীর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র ও তার ভাইকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে একই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে।
গত (৪মার্চ) দুপুর আনুমানিক ১ঘটিকার সময় রাজধানীর তুরাগ থানা অন্তর্গত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির সমনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে যানাগেছে মারধরে আহত শিক্ষার্থীর নাম এনামুল আহমেদ শৈশব (২১) ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট এর ৬৯ ব্যাচ এর একজন ছাত্র।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী ভাই মোঃ সিফাত বাদি হয়ে তুরাগ থানায় ৫জনকে আসামী করে আলো অজ্ঞাত ৪/৫ জন এর বিরুদ্ধে লিখিতো অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে মারধরে আহত শিক্ষার্থীর এনামুল আহমেদ শৈশব বলেন: আমি ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্ট এর ৬৯ ব্যাচ এর একজন ছাত্র। আমারই ভার্সিটির একই ডিপার্টমেন্টের ৭০ ব্যাচ এর দুইজন ছাত্র হাফিজুর রহমান জনি ও তুহিন হোসেন তার মামা তুরাগ থানার সাবেক ছাত্র নেতা শফিকের নেতৃত্বে একটি বাহিনী গড়ে তুলে এই বাহিনীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছাত্রদের কে নিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কর্ম কান্ড পরিচালনা করে। এই বাহিনীর লোকজন অন্য তম সদস্য বৃন্দ যেমন বিবিএ ডিপার্টমেন্টের জে.এম নাঈম (পিতা:তাজউদ্দীন), রায়হান মাহমুদ, মেহেদী হাসান মাহিন,ফারহান মুরশেদ,মেজবাহ আল হাসিব। জনি তার মামার নেতৃত্বে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের ভিতরে ও বাহিরে অনৈতিক কর্মকান্ড, মাদক সেবন,মেয়েদের যৌন হয়রানি করা, ইভটিজিং একটি বিত্তি কর পরিস্থিতি বজার রাখে। শফিক তার এই ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্রদের সাথে নিয়ে তার বিভিন্ন অপকান্ড চালিয়ে আসতে ছিলো। এই ধারাবাহিকতায় গত ৪ তারিখ দুপুর আমার উপর এবং আমার সহপাঠীদের উপর হামলা চালায়। ঘটনা সূত্রপাত হয় গত ২ মার্চ ২০২৪ আমাদের ভার্সিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকি উপলক্ষে একটি সাসংস্কৃতি অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয় এর জন্য তার একদিন আগে অর্থাৎ পহেলা মার্চ ২০২৪ রাতে অনলাইনে ডিপার্টমেন্টগত একটি মিটিং এর আয়োজন করা হয় সেখানে পরিচালোনার দায়িত্বে আমার ক্লসের ঈজ ছিলো সাখাওয়াত হোসেন নাবিল। তখন মিটিংয়ে জনি এবং তুহিন মেয়েদের কে নিয়ে বাজে কথা এবং স্যারদের নিয়ে বাজে কথা বলে এতে দায়িত্বে থাকা নাবিল তাদের শুধু চুপ করতে বলে এই কথাটা নাকি জনির ইগোতে লাগে এরই ধারাবাহিকতায় ৪ তারিখ দুপরে আমি আর নাবিল যখন পরিক্ষা শেষ করে বের হচ্ছিলাম তখন এই শফিক বাহিনী আমাদের ঘেড়াও করে ভার্সিটির গেটের সামনে আমাদের শরীরে হাত তুলে তারপর ভার্সিটির থেকে দূরে নিয়ে গিয়েও আমাদের শরীরে হাত তুলে। মারার সময় তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের চুরি ছাপাটি চ্যাইন এস.এস ফাইভ আরো অনেক কিছু ছিলো তারপরই তারা মেয়েদের উপর ও শারীরিক হামলা চালায় তারপর যে বাচাতে আসতে চায় তাদেরই মারে তাদের উদ্দেশ্যে ছিলো একবারে খুন করা। আর এটা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো। কারণ ওই অবস্থায় জনির ফোনে একটা কল আসে শফিকের যে লাশ ফেলে দেও যা হবে আমি বুজে নিবো। আমাকে সহ আরো বাকিদের (শৈশব,রাহিন,বাদন,নিবির) উঠিয়ে শফিকের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ওই খানে ধরে আমাদের সবাইকে মারা হয়। ওই খানে শফিক নিজেও উপস্থিত হয়। সে বলছিলো যে আমার নাম মনে রাখবি আর আজ থেকে পুরো ক্যাম্পাস আমার ভাগিনা চালাবে, পুরো দিয়াবাড়ি আমার আয়োত্তে থাকবে আমাদের মাজে একজন হিন্দু ফ্রেন্ড ছিলো (বাধন) তাকে তার ধর্ম নিয়ে গালাগালি করে তারপর বলে গোপালগঞ্জের আকাডা বলে আখ্যায়িত করে। তারপর আমরা আমাদের প্রাণের ভিক্ষা চাই কিন্তু তারা অমানুষের মতো বলে যে তোদের হসপিটালে পাঠালে টাকা খরচ হবে। সে আরো বলে থানা নাকি তার দখলে কেউ মামালা করলে তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। ঘটনা ৪ তারিখ দুপুরে আমাদের সবাইকে মেরে রাস্তায় ফেলে রাখা হয় দিয়াবাড়ি সেন্টারে। তারপর এক লোকাল অটোওয়ালা আমাদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে উদ্দার করে হসপিটালে নিয়ে যায়।আমাকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আমার বড় ভাই বাদি হয়ে তুরাগ থানায় ৫ তারিখ ভোর ৫ টায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা করার সময় এই শফিক থানায় গিয়ে তার দলবল নিয়ে উৎপাত করে আর আমার বড় ভাইকে হুমকি দেয়। কিন্তু ওই দিনই আসামি এত বড় ঘটনা করার পর জামিন পেয়ে যায়। তারপরই তার মামা শফিক এবং জড়িত আসামিগণ আবারো ভার্সিটির আশে পাশে শো-ডাউন দেয়। এরই মধ্যে আমাদের সাথের ২ জন বিক্টিম তার মামার ভয়ে গ্রামে পালিয়ে যায় আর তাদেরকে মামলাও করতে দেওয়া হয়নি। ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবায়িত হওয়ার পরও প্রাশাসনিক কোন সাহায্য পাইনি।আমার ঈওউ তে এক্সাম ছিলো আগামি ১৬ মার্চ সেটাও আমি এখন দিতে ব্যর্থ। কারণ আমার ২ হাত ভাংগা। এখন আমি আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছি। আর আরো ২ জন হসপিটালে মারাত্মক অবস্থায় আছে। এই স্বাধীন দেশে আমি নিজেকে নিরাপত মনে করছি না। অতএব দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং গণতন্ত্রের মা তার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি সঠিক বিচারের জন্য এবং সুনজর কামনা করছি।
আরো পড়ুনঃযেসব জায়গায় পাওয়া যাবে ১০ টাকায় ডিম, ২০০ টাকায় ব্রয়লার
আরো পড়ুনঃরমজানে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর
Leave a Reply