কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নারায়ণসার গ্রামের প্রথম শ্রেণির স্কুলছাত্র রমজান আলী হত্যা মামলায় দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রোববার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় একজন উপস্থিত থাকলেও আরেকজন পলাতক ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নারায়ণসার গ্রামে মৃত সৈয়দ আব্বাসের ছেলে আইয়ুব আলী, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের আজাহারুল ইসলাম রিপন (পলাতক)।
আদালত রায় ঘোষণার পর পলাতক রিপনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশকে। এ মামলায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মাসুম ও রনিকে নামে দু’জনকে খালাস প্রদান করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২ জুলাই হাবিল মিয়ার ছোট ছেলে মোহাম্মদ রমজান আলী খেলাধুলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। পরে বাড়ি না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজখুঁজি করেন। পরে সেদিনই তারা বুড়িচং থানায় একটি জিডি করেন। এর পরের দিন ক্যান্টনমেন্ট পাওয়ার হাউজের পাশে রমজানের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়।
এরপর একটি অজানা ফোন নম্বরে হাবিল মিয়াকে কল দিয়ে একজন বলেন, তাদেরকে আইয়ুব আলী তিন লাখ টাকা দিয়েছেন রমজান আলীকে মারার জন্য। এরপর হাবিল মিয়া বাদী হয়ে আইয়ুব আলী ও মাসুমকে আসামি করে মামলা করেন। পরবর্তীতে রনি ও আজহারুল ইসলাম রিপনকে মামলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, সকল সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত আজ এ রায় প্রদান করেছেন। আইয়ুব আলী সম্পর্কে হাবিল মিয়ার চাচাতো ভাই। হাবিল মিয়ার সঙ্গে আইয়ুব আলীর সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুদীপ্ত কুমার জানান, ২০০৮ সালের তদন্ত শেষ করে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘদিন ধরে মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।