বিগত ১৬টি বছর পরিবার পরিজন ছেড়ে ফেরারি জীবন যাপন করতে হয়েছে। কখনো মামলার ভয়ে আবার কখনো স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীর ভয়ে। ১৬টি বছর দেখতে পারেননি নিজের স্ত্রী-সন্তান ও পরিবার পরিজনের চেহারা, তুবও দলের সাথে বেঈমানি করেন নি।
হয়েছেন কারা নির্যাতিত নিপীড়িত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন তিনি। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর থেকেছেন জেলে, স্বৈরাচার হাসিনা দ্বারা গঠিত ডিভি পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িয়ে থাকার কারণে মিথ্যা মামলায় রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে গিয়ে করেছে অমানবিক নির্যাতন, ছিলেন আইনাঘর নামক জাহান্নামে, জীবন বাঁচাতে করেছেন আকুতি মিনুতি তবুও ছাড় পাননি।
বলছিলাম সাবেক পল্লবী থানা ছাত্রদল নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দল ৫ নং ওয়ার্ড নেতা মনির হোসেন বাবুর কথা।
ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেখেছেন নতুন সময়ের সূচনা। ফেলেছেন শান্তির নিঃস্বাস। বিগত ১৬ বছর পর নিজের স্ত্রী-সন্তানের সাথে দুবেলা খাবার খাবার সুযোগ হয়েছে বিএনপির এই নেতার।
স্বৈরাচার হাসিনার পতন হলেও হয়নি স্বৈরাচারীদের, নির্যাতিত নিপীড়িত বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে এখনো চলছে ষড়যন্ত্র। তাকে দমিয়ে রাখতে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্যাফিক্স করা ছবি প্রকাশ করে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে তাকে হয়রানীর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির এই নেতা।
এ বিষয়ে মনির হোসেন বাবু বলেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আমলে ঘরে থাকতে পারি নাই। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেলে দিয়েছে তবুও আমাকে দমাতে পারেনি। আওয়ামী লীগের পতন হলেও ছাত্র জনতার হত্যকারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রসীরা এখনো আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কে বা কারা আমার ছবি বিকৃতি করে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাই আমি বলতে চাই সে সকল সন্ত্রসীদের তারা যতই আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করুক না কেন আমাদের আর দমাতে পারবে না। অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশ থেকে স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে। আমরা আর কোন স্বৈরাচারের অবস্থান হতে দিব না। তাই আমি সেই সকল মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রতি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।