নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানা ও তার ভাই রিপন সহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
গত শুক্রবার ৮ মার্চ পল্লবী থানার অন্তর্গত ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ হেমায়েত রাজধানীর মিরপুর পল্লবী থানায় বাদী হয়ে, পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা ও তার ভাই রিপন সহ ১০ জনের নাম এবং আরও অজ্ঞাত ৪০/৪৫ জন উল্যেখ করে একটি লিখিতো অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ৮ মার্চ রাতে দোকান থেকে বাসা ফেরার পথে আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ হেমায়েত ছেলে আরিফুল ইসলাম রাজন ও তার দোকানের কর্মচারীর সাথে এক অটোরিক্সা চালকের সাথে তর্ক বিতর্ক হলে রিক্সা চালক পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানার ভাই রিপন কে ডেকে নিয়ে আসে তখন রিপনের সাথে আরও ৪০/৪৫ জন ব্যক্তি ছুটে আসে। এক পর্যায়ে রিপোন হেমায়েতের ছেলে রাজন ও তার দোকানের কর্মচারীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। বিষয়টি রাজনের বাবা হেমায়েত জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তার সাথে ঝামেলায় জড়ানো রিপন ও তার সহযোগীরা। বিভিন্ন ভাবে হেমায়েত ও তার ছেলেকে আঘাত করে রিপন ও তার সহযোগিরা। একপর্যায়ে নিজের জীবন বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান হেমায়েত। সে সকল দৃশ্যগুলো ধারন করে সেখানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা। ক্যামেরায় দেখা যায় নিজের জীবন বাঁচাতে কোন রকম পালিয়ে পাশের মৌবন হোটেল ঢুকলে সেখানে ঢুকে লাঠি, রামদা, হকিস্টিক সহ বিভিন্ন ধরনে অন্ত্র দিয়ে আঘাত করে একপর্যায়ে এলাকাবাসী ছুটে আসে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে থাকা দেখে তখন এলাকাবাসী তাত্তখনিক মিরপুর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ হেমায়েত বলেন, আমার ছেলে আরিফুল ইসলাম রাজন ও আমার দোকানের কর্মচারী দোকানের কাজ শেষ করে বাসায় আসার পথে পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানার কার্যালয়ের সামনে আসলে সড়কে অটোরিকশা চাকার সাথে আমার ছেলের পায়ে আঘাত পাই সেই বিষয়টা রিক্সা চালককে বললে সে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে মারধর করে। আমার ছেলের সাথে থাকা আমার দোকানের কর্মচারী বাধা দিতে গেলে তখনি রিক্সা চালক পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল রানার ভাই রিপনকে ডেকে নিয়ে আসে, সে সময় রিপনের সাথে আরও ৪০/৪৫ জন তার সোহযোগি চলে আসে এবং আমার ছেলের সাথে বাক দণ্ড লেগে গিয়ে এক পর্যায়ে আমার ছেলে রাজনের পায়ে আঘাত করে মাটিতে ফেলে দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। আমার পরিচিত স্থানীয় একজন আমাকে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানালে আমি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসি এবং তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি বুঘে নিতে চাইলে তারা আমার কোন কথা নাশনে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে আমি সেখান থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে কোন রকম পালিয়ে আমার রাজনীতি কার্যালয়ের সামনে চলে আসে তারা সেখানে ৪০/৪৫ জন ছেলে পেলে নিয়ে আমাকে মারতে আসে আমার বাচার জন্য পাশে থাকা মৌবন হোটেল ঢুকলে তারা হোটেলের ভিতরে ঢুকে লাঠি, রামদা, হকিষ্টিক সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ধারা আমাকে আঘাত করে একপর্যায়ে এলাকা বাসী ছটে আসলে তারা সেখন থেকে পালিয়ে যায়। আমি তাদের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে তখন এলাকাবাসী আমাকে তাৎক্ষণিক মিরপুর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার ছেলে রাজন আগে থেখে অসুস্থ তার উপর তারা আমার ছেলেকে যেভাবে মেড়েছে তা আপনাদের বলে বুঝাতে পরবোনা। একজন মানুষকে এভাবে কেউ মারতে পারে না। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দেশের আনের কাছে সহযোগিতা চাই এই ঘটনার সুষ্ট বিচার চাই। এই বিষয়টি আমি আমার ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিল ভাইকে বিষয়টি জানাই তিনি সেই দিন বিষয়টি জানতে গিয়ে তারা তাকে বিভিন্ন ভাবে লঞ্চিত করার চেষ্টা করে ও ভিত্তিহীন ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। তাই আমি দেশের প্রচলিত আইনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান খলিল বলেন। মোঃ হেমায়েত আমার দলীয় কর্মী। আমি সেই দিন আমার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম তখনি আমার কাছে মুঠোফনে কল আসে যে আমার দলীয় কর্মী মোঃ হেমায়ত ও তার ছেলে রাজনকে জুয়েল রানার ভাই রিপন ও তার সহযোগীরা মারধর করছে বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক আমার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছুটে আসি এবং ঘটনাটা বুঝতে চাই ও আশেপাশের মানুষদের সাথে কথা বলি। আমার দলীয় কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়। তারা হাউ চিল্লা করে আমি তাদেরকে আমার মত করে থামায় ঘটনাস্থলে যাতে করে কোন রকম ঝামেলা না হয় কোন রকমের দুর্ঘটনা না ঘটে আমি এটা চেষ্টা করেছি এবং পরে আইন প্রোয়গকারীর লোকজন আসছে তারাও আমার সাথে কথা বলেছে আমাকে বিভিন্ন ভাবে পরামর্শ দিয়েছে আমি তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি আমার সকল লোকজন নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।
এ সময় তিনি আরও বলেন: আসলে বিষয়টা হলো যে জুয়েল রানা বিগত দিনে বাইতুল আমান জামে মসজিদ দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্ব থাকাকালীন সে হিসাবে অনেক গরমিল করেছে কোনরকমে মসজিদের উন্নায়ন করে নাই। বর্তমানে সেই মসজিদের দায়িত্বে আমি আছি আমি দায়িত্বে আসার পর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি যা আপনারা চাইলে মসজিদে সকল মুসল্লিদের কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেন। তারা ৬ বছর দায়িত্বে ছিলেন তারা কোন রকম হিসাব দিতে পারে না এছাড়া আরও অনেক কথা আছে আমি আমি বলতে চাই না। অনেকে মসজিদের নাম নিয়ে রড নিয়ে ঢাকার বাহিরে বারি করসে। অনেকে আবার মসজিদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা আনসে যা মসজিদে দেয় নাই। অনেকে মসজিদের হিসাব দেই না। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যখন আমরা ইফতারের জন্য টাকা কালেকশন করছিলাম তখন যে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি ৫ হাজার টাকা ঘোষণা দিচ্ছে সেই মুহুর্ত আমি বাধা দেই। যারা বিগত দিনে এই মসজিদের টাকা লুটপাট করে খেয়ে গেছে। তারা যতখন মসজিদের হিসাব বুঝিয়ে দিবেন ততখন আমার তাদের কোন অনুদান আমরা নিবো না এবং সেখানে হাজার হাজার মুসল্লি ছিল সবাই আমার সাথে একমত দিয়েছে। সে জন্য তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তাছাড়া আমি অনেক বছর ধরে রাজনীতি করে আসছি তাই আমার বিশ্বাস আমি মানুষের মন জয় করতে পেরেছি সে জন্য আমি সামনে ৫ নং ওয়ার্ড এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কাউন্সিলর নির্বাচনে করবো। যেহেতু জুয়েল রানা দুই দুইবার কাউন্সিলর নির্বাচনের চেষ্টা করেছে সফল হতে পারেনি ব্যাপক ভোটে সে পরাজয় হয়েছে এই কারনে আরও অনেক সমীকরণ আছে যা আমি অল্প সময়ে বলতে পারছি না। তাই বিভিন্ন কারনে সে আমার উপরে ক্ষিপ্ত। তাই আমার কথা হলো আমার দলীয় কর্মীকে কেউ মারলে আমি বসে থাকতে পারি না। সেই দিক থেকে আমি আমার কর্মীকে মারার কথা শুনে ঘটনা স্থলে আসি আর সেই সময়কার কিছু চিত্র জুয়েল রানার লোক তুলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্য বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রচার করছে। আসলে তারা এটা দিয়ে কি বুঝাতে চাচ্ছে তা আমি জানি না। তারা আমার কর্মীকে মারার আবার তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে। আমি বলতে চাই আমি সব সময় মানুষের কল্যানে কাজ করেছি, তাই আমার বিশ্বাস আমি নির্বাচন করলে বিপুল ভোটে পাস করবো। তাই আজ আমাকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। তাই তাদের বলতে চাই এসব করে কোন লাভ নেই এলাকার জনগণ জানে আমি কেমন। এজন্য আমি নির্বাচন করতে চাই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই।যারা এসব ভন্ডামি মিথ্যা পোশাক নিয়ে ঘোরে তারা আস্তে কওে নিক্ষেপ হবে। আর ইনশাআল্লাহ আমি যেহেতু মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে আছি। পারলে মাঠে আসেন, সাত সাহস থাকে আসেন, যদি কোন প্রমান থাকে তাহলে সামনাসামনি আসে বসতে চাই আপনাদের সাথে।
Leave a Reply