দিগন্তধারা/ সম্রাটঃ একদফার আন্দোলন আরও জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা। হরতাল-অবরোধের পাশাপাশি এবার অসহযোগ আন্দোলনের কথা ভাবছে দলগুলো। চলমান আন্দোলনকে দুটি ধাপে ওই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন নীতিনির্ধারকরা। সাধারণ মানুষের প্রতি নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে অসহযোগের প্রক্রিয়া। বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই আহ্বান জানানো হতে পারে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ আন্দোলন তুঙ্গে উঠলে তখন দেশবাসীকে অফিস-আদালতে না যাওয়া, যান চলাচল বন্ধ রাখা, কলকারখানা বন্ধ রাখা তথা সরকারকে সর্বোতভাবে অসহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হতে পারে। বিএনপি নেতারা মনে করেন, জনগণের ভোট প্রত্যাখ্যান করা মানে নির্বাচন আয়োজনে অসহযোগিতা করা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন বয়কট করে একদফার আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও শরিক দলগুলোর লক্ষ্য এখন ভোট ঠেকানো। পাশাপাশি নির্বাচনে ভোটার ঠেকানোরও পরিকল্পনা করছেন তারা। এর অংশ হিসেবে হরতাল-অবরোধ পালনের পাশাপাশি সরকারের ‘একতরফা’ ভোট প্রত্যাখ্যানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে আসছে দলগুলো। জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করতে প্রচারের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই লক্ষ্যে দেশবাসীকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে প্রচারপত্র ছাপানো হচ্ছে। দুই পৃষ্ঠার প্রচারপত্রের একপাশে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং অন্য পাশে ঘোষিত নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের । আগামী শুক্র অথবা শনিবার থেকে এই প্রচারপত্র বিতরণ শুরু হতে পারে। ভোটগ্রহণের নির্ধারিত দিন ৭ জানুয়ারির আগ পর্যন্ত হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ফাঁকে সারা দেশে ভোটবিরোধী এই প্রচারপত্র বিলি করা হবে।