সম্রাটঃ গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের অন্যতম নেতা খলিল আল-হায়া বলেছেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়িত হলে তার গ্রুপ পাঁচ বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য ইসরাইলের সাথে অস্ত্রবিরতিতে রাজি এবং তারা একটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হতে চান। বার্তা সংস্থা এপি এ খবর প্রকাশি করেছে।
ইস্তাম্বুলে এপির সাথে এক সাক্ষাতকারে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, হামাস গাজা এবং পশ্চিম তীরে একটি ঐক্যবদ্ধ সরকার গঠনে অংশগ্রহণ করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াইকারী সব মানুষের অভিজ্ঞতা হলো, যখন তারা স্বাধীনতা হাসিল করে এবং তাদের অধিকার এবং রাষ্ট্র অর্জন করে, তখন এসব বাহিনী কী করে? তারা রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়, তাদের আত্মরক্ষা বাহিনী তখন জাতীয় সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়।’
আল-হায়া আরো বলেন, রাফায় ইসরাইলের পরিকল্পিত হামলাটি হামাসকে ধ্বংস করতে সফল হবে না।
তিনি বলেন, ইসরাইলি বাহিনী হামাসের ২০ ভাগ সক্ষমতাও ধ্বংস করতে পারেনি, লোকবল বা ময়দান, কোন দিক থেকেই নয়।
তিনি বলেন, তারা যদি হামাসকে শেষ করতে না পারে, তবে কী হবে সমাধান? সমাধান হবে সমঝোতায় উপনীত হওয়া।
গাজায় গণকবরের বিষয়ে ইসরাইলের কাছে ‘জবাব’ চেয়েছে হোয়াইট হাউস
হোয়াইট হাউস বুধবার বলেছে, ইসরাইলি অবরোধে ধ্বংস হওয়া গাজার দু’টি হাসপাতালে গণকবর আবিষ্কারের পর তারা ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছে ‘জবাব’ চেয়েছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, ২৪ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীরা খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যার শিকার এবং গণকবরে প্রায় ৩ শ’ ৪০ জনের লাশের সন্ধান পেয়েছে।
গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের চত্বরে দু’টি গণকবরে প্রায় ৩০টি লাশ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জবাব চাই।’ ‘আমরা এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এবং স্বচ্ছভাবে তদন্ত দেখতে চাই।’
গণকবরগুলোর আবিষ্কার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে পরিস্থিতির স্বাধীন তদন্তে জাতিসঙ্ঘের দাবি জোরালো হচ্ছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর নাদাভ শোশানি বলেছেন, নাসেরের কবরটি ‘কয়েক মাস আগে গাজাবাসীরা খনন করেছিল।’
ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, ‘ফিলিস্তিনিদের দেয়া কবরের লাশগুলো’ পণবন্দীদের সন্ধানকারী সৈন্যরা পরীক্ষা করেছিল। তবে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইসরাইলি সৈন্যরা ছিল এমন অভিযোগের ব্যাপারে তিনি সরাসরি কিছু বলেননি।
গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় চলমান যুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষা পাওয়া হাসপাতালগুলো বারবার ইসরাইলি বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে। হামাস পরিচালিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক নির্বিচার এই হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩৪,২৬২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। যাদের বেশিভাগই মহিলা এবং শিশু।
আরো পড়ুনঃবিপুল পরিমাণ ভয়াবহ মাদক বুপ্রেনরফিনসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০
Leave a Reply