রাজধানী মীরপুরের মাদক কারবারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ১১ নম্বরের কালশি মোড়ে একটি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে স্থানীয় জনগন। মানববন্ধন থেকে তারা পল্লবী এলাকার সব মাদককারবারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এছাড়াও মাদক কারবারীদের সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পল্লবী এলাকা থেকে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোসাঃ ফাতেমা বেগম ওরফে ফতু ও মোছাঃ রেজিয়া বেগম।
বৃহস্পতিবার পল্লবী থানা পুলিশ সংবাদ পায় বাউনিয়াবাদ এলাকায় দুইজন মাদক কারবারি ইয়াবা বিক্রির জন্য অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবাসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এরআগে গত শুক্রবার দেশের একটি গণমাধ্যমে ‘দুই লাখ টাকা দাও মাল কমিয়ে দেব’শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদে এসআই আনোয়ারুল ইসলাম এবং চিহ্নিত মাদক কারবারী ফাতেমার বেগম ওরফে ফতের বোনের মধ্যকার ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে ৩ লাখ টাকা নিয়ে কথাবার্ত হলেও শেষে ২ লাখ টাকায় সমঝোতা হয় বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন : পল্লবীর ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ ফতু গ্রেপ্তার
পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ারুল ইসলামের ঘুষ কাণ্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার বিকালে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিরপুর বিভাগীয় উপকমিশনার মো.জসীম উদ্দিন মোল্লা। তিনি বলেন,বিষয়টি তদন্তে আমি ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটি বিষয়টি তদন্ত করবে, এরপর তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা উদ্ধারকৃত ইয়াবা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন : পলাতক আসামী আরিফ’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০
পল্লবী থানার মামলায় গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এর আগেও ফাতেমা বেগম অরফে ফতুর বিরুদ্ধে আগেরও ১৬টি মামলা রয়েছে। তিনি জেলেও গেছেন একাধিকবার। প্রতিবারই জামিনে বের হয়ে আবারও মাদক কারবারে জড়িয়ে যান।
ফেসবুকে আমরা
Leave a Reply