সম্প্রতি খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছরে পাকিস্তানে উল্লেখজনক বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে দেশটিতে অনেক নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এবার দেশটির একটি বেসকারী স্কুলে পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে ৯ বছর বয়সী এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষকসহ আরো সাতজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দেশটির উত্তর পশ্চিমাঞ্চলী প্রদেশ খাইবার পাখতুনখওয়ারে সোয়াত জেলায় এই ঘটনা ঘটে।
সোয়াত পুলিশের ডিপিও শফিউল্লাহ গান্দারপুর জানান, অভিযুক্ত কনস্টেবল আলম খানকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে দুইবার পুলিশ বাহিনী থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। গত বছর বাহিনীতে ফেরার পর তিন মাস আগে নিরাপত্তার জন্য ওই স্কুলের সামনে তাকে মোতায়েন করা হয়েছিল। এতোদিন পর এই স্কুলেই হামলা চালায় এই অভিযুক্ত কনস্টেবল।
তিনি জানান, আহতদের সোয়াতের সাইদু শরিফ টিচিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই হাসপাতালে আহতাবস্থায় ভর্তি এক ছাত্রী জানায়, তাদের বহনকারী ভ্যানটি স্কুলের গেইট অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে ওই সন্দেহভাজন নির্বিচারে গুলি চালানো শুরু করে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের এই সোয়াত উপত্যকাতেই ২০১২ সালে তৎকালীন স্কুল শিক্ষার্থী মালালা ইউসুফজাই জঙ্গি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। স্কুল বাসে এক বন্দুকধারী ছোড়া গুলিতে তিনি মারাত্মক আহত হন। কয়েকদিন অজ্ঞান থাকার পর চিকিৎসকদের নিবিড় প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে পাকিস্তানের এই শিক্ষা আন্দোলনকর্মী সবচেয়ে কম বয়সে শান্তিতে নোবেল পান।
সূত্র: ডন
Leave a Reply