২০১৪ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশি হেফাজতে মীরপুরের বাসিন্দা দুই সন্তানের জনক ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যু হয়। দেখতে দেথকে ১০ বছর পূর্ন হয়েছে। সেই জনির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাপা কষ্ট আর দীর্ঘশ্বাস সঙ্গী করে ১০ বছর ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন খুরশিদা বেগম। তাঁর বুকের নিধি ইশতিয়াক হোসেন জনিকে তো আর কোনোদিন ফিরে পাবেন না। তবে প্রাণপ্রিয় সন্তানের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য দায়ীদের সাজা কার্যকর দেখে যেতে চান। এটুকু সান্ত্বনা নিয়ে কাটাতে চান জীবনের শেষ দিনগুলো। তাই কিছুদিন পরপরই ছোট ছেলেকে জিজ্ঞেস করেন– কবে শেষ হবে বিচার।
এক দশক আগে রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশ হেফাজতে নির্মম নির্যাতনে মারা যান গাড়িচালক জনি। এ ঘটনায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা হয়। এটি ছিল ওই আইনে দায়ের প্রথম মামলা, এখনও যার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়নি।
বৃহস্পতি দুপুর থেকে তালাব ক্যম্প ও ইরানী ক্যম্পের বাসিন্দাদের আয়োজনে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীর ১১ নাম্বার মোহাম্মাদিয়া মার্কেটের সামনে ইলিয়াস মোল্লাহ মিনি মাঠে এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ১৬ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের নব-নির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত অতিথিরা বক্তবে নিহত জনির পরিবাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তবে আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ নিহত জনির পরিবাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং জনিকে চির স্মরনীয় রাখতে নিজের নামের মাঠটি জনির নামে নামকরনে আদেশ প্রদান করেন এবং এ সময় তিনি বলেন বিগত দিনেও নিহত জনির পরিবারের পাশে ছিলাম এবং ভবিশতের তাদের পাশে থাকবো। বর্তমানে মাঠটির নামকরন করা হয়েছে জনি স্মৃতি মিনি মাঠ।
Leave a Reply