ইয়েমেনের হুতিরা ফের যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন একটি ট্যাঙ্কার জাহাজ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ট্যাঙ্কারটি লক্ষ্য করে দু’টি জাহাজ-বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। তবে সেগুলো জাহাজটির কাছাকাছি পানিতে পড়েছে এবং এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা কেউ হতাহত হয়নি, জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।
সামাজিক মাধ্যম এক্স এ করা এক পোস্টে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, ইয়েমেনের স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। হুতিরা হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, তারা নৌ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চেম রেঞ্জার নামে জাহাজটিকে লক্ষ্যস্থল করেছে এবং সেটিতে ‘সরাসরি আঘাত’ লেগেছে।
পর্যবেক্ষণ পরিষেবা ট্যাঙ্কারট্র্যাকার ডটকম সামাজিক মাধ্যমে বলেছে, “ছোট ওই রাসায়নিকবাহী ট্যাঙ্কারটি সৌদি আরবের লোহিত সাগর বন্দর জেদ্দা থেকে কুয়েতের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল, কিন্তু দক্ষিণ দিকে ইয়েমেনের দিকে এগোনোর সময় এর অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) বন্ধ করে রাখে।”
এরপর হুতিদের জাহাজ-বিধ্বংস ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে পাল্ট হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনে হুতিদের দু’টি জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র লোহিত সাগরে ছোড়ার জন্য হুতিরা প্রস্তুতি নিয়েছিল যা অঞ্চলটিতে থাকা মার্কিন জাহাজ ও যুদ্ধজাহাজের জন্য ‘অনিবার্য হুমকি’ ছিল।
ফের মার্কিন জাহাজ লক্ষ্য করে হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লোহিত সাগরে ও আশপাশে চলা হুতিদের হামলায় এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্যের গতি ধীর হয়ে গেছে। এসব হামলায় পশ্চিমা শক্তিগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। এটি ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় চলা যুদ্ধের একটি বিস্তৃতি।
হুতিরা জানিয়েছে, তারা গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যে থাকা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত, ইসরায়েলগামী জাহাজ ও ইরায়েলকে সমর্থনকারী দেশগুলোর জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।
গত সপ্তাহ থেকে ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্যস্থলগুলোতে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি সপ্তাহে তারা ফের হুতিদের ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন : ইয়াবা বহনকারী দুইটি মোটরসাইকেল সহ তিনজন গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইয়েমেনে মার্কিন বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে এসব পদক্ষেপে হুতিদের ‘হামলা বন্ধ করা নাও যেতে পারে’ বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে থাকাকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, “এগুলো কি হুতিদের থামাতে পারবে? না। তারা কি (হামলা) চালিয়ে যাবে? হ্যাঁ।”
ফেসবুকে আমরা