ভারতে সরকারি প্রকল্পের অধীনে ফ্রিতে মোবাইল দেওয়ার কথা বলে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাজস্থানের পাবলিক হেল্থ ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানিয়েছে, পানি সরবরাহ বিভাগের ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করা ওই ব্যক্তি মোবাইল দেওয়ার কথা বলে একটি গাড়িতে করে নিয়ে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরে পানি সরবরাহ বিভাগরে প্রধান গেটের সামনে বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়। এ ধরনের একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
যদিও পিটুনি দেয়ে তাকে ছেড়ে দেয় স্থানীরা। তাকে পুলিশের হাতেও দেওয়া হয়নি। ফলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি।
পরে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী রাজ্যের করাউলি জেলার তোদাভীম থানায় অভিযুক্ত ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তার নাম সুনিল কুমার জাঙ্গিদ।
পুলিশ জানিয়েছে, ১০ আগস্ট ওই কিশোরী বাড়িতে একাই ছিল। কারণ তার মা কাজের জন্য বাড়ির বাইরে ছিল। অন্যদিকে বাবা ছিল জয়পুরে।
সাওয়াই মাধোপুর জেলার গঙ্গাপুর সিটি তহসিলের কুনসে গ্রামের বাসিন্দা সুনীল কুমার জাঙ্গিদ ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে জানায়, সরকার বিনা খরচে মোবাইল ফোন দিচ্ছে এবং তার নাম ওই প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে। এ সময় ওই কিশোরীকে বলা হয় দ্রুত ফোনটি পেতে হলে তার সঙ্গে গাড়িতে যেতে হবে। এরপর একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এদিকে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ করার হচ্ছে অভিযুক্তকে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।