সামিমঃ বিমানে সফর করার সময় প্রায়শই প্রতিকূল আবহাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে সিটবেল্ট বাঁধতে বলা হয়। এমনটাই স্বাভাবিক। মাঝ আকাশে বজ্রপাতের ঝামেলা না থাকলেও প্রতিকূল আবহাওয়ায় প্লেন তীব্র ঝাঁকুনি দিতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার তোড়ে বিমান এক লাফে কয়েক হাজার ফিট নিচে নেমে যেতে পারে। ঝাঁকুনি বেশি হলে পাইলট ‘এয়ার টার্বুল্যান্স’ এর ঘোষণা দিয়ে দেবেন।টার্বুল্যান্স সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা থাকে কম। তখন যাত্রীরাও থাকেন শঙ্কায়। এক্ষেত্রে যাত্রীদের আর করণীয়ই বা কি থাকতে পারে? প্যানিক না করা একটি।
প্রথমে বুঝতে হবে এয়ার টার্বুল্যান্স কী
যাত্রাপথে বিমান দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মাঝে নিপতিত হলে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়। ঝড়ের সময় দুই বিপরীতমুখী হাওয়ার গতির মাঝে বিমান চলে আসলে ঝাঁকুনি তৈরি হয়। ঝোড়ো হাওয়ার তীব্রতায় ঝাঁকুনি হয় বেশি। আর এই বাতাসের চাপে বিমান নিচেও নেমে আসতে পারে। সচরাচর তীব্র ঝড়ের সময় এমন হয়।
টার্বুল্যান্স চার রকমের
হালকা, মাঝারি, তীব্র আর অতি তীব্র–এই চার ধরনের টার্বুল্যান্স। টার্বুল্যান্স হালকা হলে কয়েক সেকেন্ড তা অনুভূত হয়। তবে সিটবেল্ট বাঁধা না থাকলে অনেকে পড়ে যেতে পারেন। এমনিতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে তীব্র আর অতি তীব্র টার্বুল্যান্সে বিমান কয়েক হাজার ফিট নিচে নেমে আসে। তখন ভয়াবহ বিপদ ঘটা অস্বাভাবিক নয়। অনেকে হৃদরোগে আক্রান্ত, তারা ভয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এমন ঘটনাও রয়েছে। আবার অনেকে ব্ল্যাক আউট হয়ে যান।
যাত্রীদের কি করা উচিত
টার্বুল্যান্সের ক্ষেত্রে সিটবেল্ট বেঁধে বসে থাকাই যাত্রীর কাজ। মনকে শান্ত করার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দিতে হবে। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এয়ার টার্বুল্যান্স ৫৫ শতাংশ বেড়েছে বলে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। বিমানে যাত্রীর তেমন কিছুই করার থাকে না। তবে সতর্ক থাকার ক্ষেত্রে এই ধাপগুলোই মাথায় রাখা জরুরি। কারণ টার্বুল্যান্স মানেই যে আপনার বিমান দুর্ঘটনায় পতিত হবে এমন নয়। কিন্তু যাত্রীরা প্যানিক করলে সঙ্গত কারণেই বিমান বাহিনীতে কর্মরত অন্যদের নানা অসুবিধা দেখা দেয়। তাই নিজের স্বার্থেই এ বিষয়টী খেয়াল রাখা জরুরি।
আরো পড়ুনঃ‘ফাতিমা’ হয়ে এলেন ফারিণ
আরো পড়ুনঃমানসিকতা পাল্টে ‘দুই শর বেশি রানের জন্য খেলবে’ পাকিস্তান
Leave a Reply