তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৫ আগস্টে সংঘঠিত এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। খুনের মাধ্যমে বিএনপির উত্থান, তারা এখনো খুনের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। দেশটাকে তারা এখন বিশ্ববেনিয়াদের হাতে তুলে দিতে চায়। এদের রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বুধবার বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহিদদের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেলের আত্মার প্রতি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন তখনই পূর্ণতা পাবে যখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানসহ ১৫ আগস্টের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচিত হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, জন্মদিনে শহিদ শেখ রাসেলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় এই অবুঝ শিশুটি রাজনীতি বুঝতো না, রাজনীতির আশপাশেও ছিল না। তবু তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক এখন সিনেমা হলে চলছে। এই সিনেমায় দেখতে পাবেন- সেই হত্যাযজ্ঞের সময় বাড়ির সিঁড়ির তলায় আশ্রয় নেয়া শেখ রাসেলকে যখন টানা-হেঁচড়া করা হচ্ছিল, তখন শেখ রাসেল বলছিল- আমি মায়ের কাছে যাবো। খুনিরা তাকে বঙ্গমাতার লাশের কাছে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সেদিন খুনিরা কতটা নৃশংস-বর্বর ছিল তারই প্রমাণ এ হত্যাকাণ্ড। খুনিরা সেদিন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘঠিত করেছিল।
Leave a Reply