মামাতো বোনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাশেদুল ইসলাম। ফেরার পথে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে তার।

বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে চিরনিন্দ্রায় শায়িত হন রাশেদ।

নিহত রাশেদুল ইসলাম ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া শফিক মৌ-লোভী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ ছিলেন দ্বিতীয়। তিনি হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

দুর্ঘটনায় অপর আহতরা হলেন- অটোরিকশাচালক মিনহাজ (২৬), যাত্রী ফরিদগঞ্জের দুলাল কর্মকারের ছেলে বিজয় কর্মকার (২০), আইয়ুব আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৭)। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হাজীগঞ্জ উপজেলার বেলচোঁ বাজার ও সেন্দ্রা গ্যাস পাম্প সংলগ্ন এলাকায় রামগঞ্জগামী একটি অটোরিকশা ও হাজীগঞ্জগামী একটি পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রী ও চালক আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে চিকিৎসক দু’জনকে আশঙ্কাজনক বলে ধারণা করেন। পরে রাতেই মৃত্যু হয় রাশেদুল ইসলামের।

রাশেদের ফুফাতো ভাই জুয়েল পাটোয়ারী জানান, রাশেদ হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নে মামাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে ফিরার পথে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে অটোরিকশা পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুর রশিদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন গুরুতর আহত হন। বুধবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুল ইসলাম মারা যান। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিএনজি ও পিকআপ জব্দ করা হয়েছে।