কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতকে সাইবার নিরাপত্তায় ‘শত্রু দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। দেশটি ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছে।
এদিকে এক প্রতিক্রিয়ায় ভারত বলেছে, আন্তর্জাতিকভাবে তাদের আক্রমণ ও ক্ষতি করার জন্য কানাডা নতুন আরেকটি কৌশল হাতে নিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কানাডার সরকারের কিছু কর্মকর্তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন কানাডা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তারা ভারতের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।
তিনি দাবি করেছেন, ভারতকে ‘সাইবার প্রতিপক্ষ’ অর্থাৎ সাইবার শত্রু হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে কানাডা কোনো শক্তিশালী প্রমাণ উপস্থাপন করেনি।
নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধির জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা একে ভারতকে আক্রমণ ও বদনাম করার আরেকটি কানাডীয় কৌশল হিসাবে দেখছি। তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, কানাডা ভারতের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক মতামতকে নেতিবাচক করতে চাইছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর কানাডায় খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলায় ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় কুমার ভার্মাকে ‘স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করে কানাডার পুলিশ। এতে চরম প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ভারত সরকার কানাডার ৬ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। একই দিন ভারত সরকার কানাডা থেকে তার হাইকমিশনার ও অন্যান্য কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদেরও প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়।