তারেক ইসলামঃ আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের পরপরই শেষ হবে ভারতীয় হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মেয়াদ। বিশ্বকাপের পর কোহলি-রোহিতদের নতুন কোচ নিয়োগ দেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।ইতিমধ্যে আগ্রহীদের আবেদন করার অনুরোধ করেছে বিসিসিআই। নতুন কোচের সঙ্গে ২০২৭ সালের এক দিনের বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
দ্রাবিড়ের ক্ষেত্রে অবশ্য তার ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছেন, নতুন করে তিনি আর দায়িত্ব নিতে রাজি নন। ফলে নতুন কেউ দায়িত্বে আসছেন।
ভারতীয় কোচ হতে হলে ৯টি শর্ত মানতে হবে আগ্রহী প্রার্থীকে, এমনটি জানিয়েছে বিসিসিআই। নতুন কোচকে সবগুলিই পূর্ণ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার সেই শর্তগুলো প্রকাশ করেছে। দেখে নেওয়া যায় শর্তগুলো
১) কমপক্ষে ৩০টি টেস্ট অথবা ৫০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে প্রধান কোচের। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের জাতীয় দলের কোচ হিসাবে অন্তত দুবছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আইসিসির অ্যাসোসিয়েট সদস্য দেশের জাতীয় দল, আইপিএল বা সম মানের বিদেশি কোনো লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট দল বা কোনো দেশের ‘এ’ দলের কোচ হিসাবে কাজ করলেও আবেদন করা যাবে। এ ক্ষেত্রে অন্তত তিন বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। বিসিসিআইয়ের লেভেল ৩ অথবা সমতুল কোচিং ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। বয়স হতে হবে ৬০ বছরের কম।
২) ভারতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালনের জন্য মুম্বাইয়ে থেকে কাজ করতে হবে।
৩) ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৭ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকতে হবে। সহকারী হিসাবে পাওয়া যাবে ১৪ থেকে ১৬ জনকে।
৪) ভারতীয় দলের প্রশিক্ষণের মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে। দলকে প্রস্তুত করার দায় তারই।
৫) ভারতীয় দলকে বিশ্বমানের করে তুলতে হবে। দল যাতে যে কোনো ধরনের ক্রিকেটে, যে কোনো জায়গায় এবং যে কোনো পরিস্থিতিতে সফল হতে পারে। সিনিয়র এবং তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিন ধরনের ক্রিকেটেই ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সের সব দায় প্রধান কোচের। সহকারী কোচ এবং অন্য সাপোর্ট স্টাফদের দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হবে। তাদের পারফরম্যান্সের দিকেও নজর রাখতে হবে। দলের সব ধরনের শৃঙ্খলারক্ষার দায়িত্বও নিতে হবে প্রধান কোচকে।
৬) বিশ্বের প্রথম সারির ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করার চাপ সামলাতে হবে। তাদের খেলার মানের সঙ্গে মানানসই ভাবে কাজ করতে হবে।
৭) সমর্থক, সম্প্রচারকারী সংস্থা, সংবাদমাধ্যম, অন্য জাতীয় দল (নারী বা অনূর্ধ্ব ১৯), বিসিসিআইয়ের সব কর্মকর্তা, বিসিসিআইয়েকর সিইও এবং জাতীয় নির্বাচক কমিটির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনীয় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হবে।
৮) দল এবং ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা থাকতে হবে।
৯) ভারতীয় দলের প্রধান কোচকে কৌশল তৈরির ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে। দলকে ধারাবাহিক ভাবে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দলের মধ্যে জয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলে শীর্ষে পৌঁছে দিতে হবে। দলের সকলকে দক্ষতার সঙ্গে সামলাতে হবে প্রধান কোচকে। পেশাদার ভাবে দলকে পরিচালনা করতে হবে। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। সকলের উন্নতির ব্যাপারে যত্নশীল থাকতে হবে। ক্রিকেটারদের প্রতিভা, দক্ষতার সম্পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। দলকে সব সময় আত্মবিশ্বাসী রাখতে হবে। দলের জন্য স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। সব ধরনের ক্রিকেটের জন্য আলাদা আলাদা পরিকল্পনা তৈরির দক্ষতা থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃকনডেম সেল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার
আরো পড়ুনঃগাজায় ‘পারমাণবিক বোমা’ ফেলার আহ্বান মার্কিন সিনেটরের
Leave a Reply