সম্রাটঃ জাইকা ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোং ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি এলিভেটেড স্টেশন ও ৫৩টি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
ইতিমধ্যে এমআরটি লাইন -৬ এর দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
১. এম আর টি লাইন-১
দৈর্ঘ্য : ২৬.৬ কি. মি. রুট : হযরত শাহজালাল (রঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর – খিলক্ষেত -কুড়িল- যমুনা ফিউচার পার্ক- বাড্ডা -রামপুরা -মালিবাগ- রাজারবাগ- কমলাপুর এবং কুড়িল হতে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম পাশ পর্যন্ত। নগর এলাকাতে বিমানবন্দর হতে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে যাবে।
২. এম আর টি লাইন-২
ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের এলাকার যানজট নিরসনে গাবতলী থেকে চট্টগ্রাম রোড পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ড ও এলিভেটেড সমন্বয়ে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল (মাস র্যাপিড ট্রানজিট -এমআরটি লাইন- ২) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জাপান সরকারের সহযোগিতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে ‘পাবলিক-প্রাইভেটপার্টনারশিপ’ (পিপিপি)-এর আওতায় এটি নির্মাণ করা হবে।
৩.এমআরটি লাইন -৩
নামে যে প্রকল্প সেটি গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণ হবে। এটিকে বলা হচ্ছে মেট্রোরেল বিআরটি। এর নির্মাণ এখন চলছে। মেট্রোরেল নিয়ে সরকারের এই পরিকল্পনার সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত জানান বুয়েটের অধ্যাপক ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ শামসুল ইসলাম।
৪.এমআরটি লাইন-৪
২০৩০ সালের মধ্যে কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের পাশ দিয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
৫. এম আর টি লাইন-৫
দৈর্ঘ্য : ১৯.৬ কি. মি. রুট : হেমায়েতপুর- গাবতলি-টেকনিক্যাল-মিরপুর ১- মিরপুর ১০- মিরপুর ১৪- কচুক্ষেত- বনানী-গুলশান২- নতুন বাজার-ভাটারা।
৬.এমআরটি লাইন-৬
ঢাকা মেট্রো লাইন ৬ হল ঢাকা মেট্রো রেলের একটি রেলপথ। উত্তরা থেকে মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেলের এই রুটের দূরত্ব ২০.১ কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩৫ মিনিট। ১৬টি স্থানে স্টেশন থাকবে।
আরো পড়ুনঃট্রেনে কাটা পড়লো আর একটি লাশ
আরো পড়ুনঃপলাতক আসামী দিদার বেপারী’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০