নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ হেমায়েত ও তার অসুস্থ ছেলে আরিফুল ইসলাম রাজনের উপর নিশংস হামলা ও প্রান নাশের হুমকির প্রতিবাদে পল্লবী থানা যুবলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও সকল দোষীদের গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
গতকাল বুধবার ১৩ মার্চ দুপুর ১২ঘটিকার সময় রাজধানীর ডিএমপি পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীরা।
এ সময় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ বক্তারা বলেন: ট্রাফিক পুলিশকে পিটিয়ে বহিষ্কৃত হওয়া পল্লবী থানা যুবলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সম্প্রতি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, ট্রাফিক পুলিশ পেটানো তার ভাইদের সেই গ্রুপ দিয়েই পূর্বের নেয় ঘটানো হচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর হামলা, দেয়া হচ্ছে হুমকি ধামকি, করানো হচ্ছে অটোরিক্সার গ্যারেজে রিকশা পতি মাসিক ৫০০ টাকা করে চাঁদাবাজি, সম্প্রতি হিরন ও হেমায়েত এবং হেমায়েতের অসুস্থ ছেলের উপর করা হয়েছে নিশংস হামলার এই সকল ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে, জুয়েল রানা সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সকল সদস্যদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চাই।
তারা যেভাবে আমাদের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা হেমায়েত ও তার অসুস্থ ছেলে রাজনকে মারধর করেছে তা আসলে অমানবিক। এখনই তাদের যদি না থামানো যায় তাহলে আবার কোন মা-বাবা, নিজের সন্তানকে হারাবে। আবারও কারো বুক খালি হবে। তাই এখনি জুয়েল রানার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আআইনের আওতায় আনতে হবে।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, আমরা তখন রাজপথ ছাড়বোনা যতকন সন্ত্রাসী জুয়েল রানা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা হেমায়েত ও তার অসুস্থ ছেলের রাজনকে মারধরের সুষ্ঠু বিচার চাই আমরা।
এ সময় ভুক্তভ’গি হেমায়েত বলেন: গত শুক্রবার ৮ মার্চ রাতে দোকান থেকে বাসা ফেরার পথে আমার ছেলে আরিফুল ইসলাম রাজন ও আমার দোকানের কর্মচারীর সাথে এক অটোরিক্সা চালকের সাথে তর্ক বিতর্ক হলে রিক্সা চালক পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানার ভাই রিপন কে ডেকে নিয়ে আসে তখন রিপনের সাথে আরও ৪০/৪৫ জন ব্যক্তি ছুটে আসে। এক পর্যায়ে রিপোন আমার ছেলে রাজন ও আমার দোকানের কর্মচারীকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি তারা আমার সাথে কোন কথা না বলে আমাকেও বিভিন্ন ভাবে আঘাত করে রিপন ও তার সহযোগিরা। একপর্যায়ে নিজের জীবন বাঁচাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান যায় আমি। সে সকল দৃশ্যগুলো ধারন করে সেখানে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা। আপনারা ক্যামেরায় ভিডিও গুলো দেখলে বুঝতে পারবেন নিজের জীবন বাঁচাতে কোন রকম পালিয়ে পাশের মৌবন হোটেল ঢুকলে সেখানে ঢুকে লাঠি, রামদা, হকিস্টিক সহ বিভিন্ন ধরনে অন্ত্র দিয়ে আঘাত করে একপর্যায়ে এলাকাবাসী ছুটে আসে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে থাকা দেখে তখন এলাকাবাসী তাত্তখনিক মিরপুর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় আমাকে ও আমার ছেলেকে। তারা বিষয়টি সেখানে শেষ কওে নাই এখনো আমাকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে এটার সুষ্ঠ বিচার চাই।
Leave a Reply