শাহারিয়ারঃ ভোলা জেলার লালমোহন এলাকায় চাঞ্চল্যকর পারভিন বেগম (৩৭) হত্যাকান্ডের পলাতক প্রধান আসামি মোঃ রিপনসহ হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত ০৩ জনকে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং অপহরন, ধর্ষণ ও হত্যাসহ, বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে্র র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৮ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ভোর ০৪:৩০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবংর্যাব-১৪ এর সহযোগীতায় কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন যশোদশ এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে ভোলা জেলার লালমোহন থানার মামলা নং-০২/০২, তারিখ-০২/০১/২০২৪ খ্রিঃ; ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০; সম্পত্তি ভোগ দখলকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাঞ্চল্যকর পারভিন বেগম (৩৭) হত্যাকান্ডের এজাহারনামীয় পলাতক ০১ নং আসামী মোঃ রিপন (২৫), পিতা-আবুল কালাম সিকদার, ০২ নং আসামী সুইটি বেগম (২২), স্বামী-মোঃ রিপন, এবং ০৩ নং আসামী বিবি ছখিনা (৫৫), স্বামী-আবুল কালাম সিকদার, সর্বসাং-কুরালিয়াকান্দি, থানা-লালমোহন, জেলা-ভোলা‘দের গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা হত্যাকান্ডটি সংঘটনের পর নিজেদেরকে আইনের হাত থেকে বাচানোর জন্য কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।
আরো পড়ুনঃকুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৮ বগি লাইনচ্যুত
আরো পড়ুনঃকথা দিয়ে কথা রাখেনি ওয়াসা