আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেশের ভেতরে একটি অশুভ শক্তি সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করছে। সেই সঙ্গে তারা সরকার ফেলে দেওয়ার চিন্তা করছে। তারা দেশের মধ্যে থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করছে। ষড়যন্ত্র আর আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগকে টলানো যাবে না।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কথা-কবিতায় স্মরণ ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নানক বলেন, দেশের ভেতরে একটি অশুভ শক্তি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে সরকার হঠাতে চায়।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে পা ধরে, আপত্তি করে, নালিশ করে, অভিযোগ করে, কোনো লাভ হবে না। সোজা পথে আসতে হবে। অগণতান্ত্রিক পথ পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসতে হবে। নির্বাচনই হলো একমাত্র সরকার পরিবর্তনের হাতিয়ার।
ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতিচারণ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ওয়াজেদ মিয়া প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জীবনসঙ্গিনী হওয়ার পরও তিনি কখনো তার রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেননি। তিনি তাকে রাজনীতিতে সাহস ও শক্তি জুগিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার খুব কাছাকাছি থেকেও ছিলেন সাদামাটা এক মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী হওয়া সত্ত্বেও তিনি কখনোই ক্ষমতার ব্যবহার করেননি। ওয়াজেদ মিয়া সারাজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার জীবন ও কর্মকে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুন নবী ভোলার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, ইসলামিয়া আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, ওয়াজেদ মিয়া স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা কমিটির সদস্য ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।