এইচ এম ইমরান : মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ২১ মে মঙ্গলবার। নির্বাচনের আগের রাতে উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের পয়শা গ্রামে চঞ্চল রাজ ঢাকা সদরঘাট থেকে ৫/৬ টি মাইক্রোবাস করে ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসে গ্রামে। এখবর পেয়ে মানবাধিকার সংবাদ কর্মী (এনপিএস) মুন্সিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইমরান তা প্রতিবাদ করে। পরে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাদের কে ১ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে গ্রাম থেকে বিতারিত করা হয়। এর জের ধরে গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে চঞ্চল রাজের ইন্ধনে সদরঘাটের দেড়শতাধিক সশস্ত্রহাতে ইমরানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন খাবার হোটেলে গিয়ে হামলা চালায়। এতে মানব অধিকার ও সংবাদ কর্মী এইচ এম ইমরান গুরুতর আহত হয়ে মিডফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ অবস্থায় সদরঘাটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন গ্রামের ঝগড়া কেনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে করা হবে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন এটা মোটেই উচিত হয়নি ।চঞ্চল রাজ আর ইমরান একই গ্রামের ছেলে। তাদের মধ্যে কোনরকম রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকলে তা গ্রামেই মুরুব্বিদের নিয়ে মিটমাট করা উচিত ছিল। পয়শা গ্রামের কয়েকজন মুরুব্বী বলেন এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান মেম্বার পলাশ রাজের পক্ষ নিয়ে এই চঞ্চল রাজ ঢাকা থেকে গুন্ডা পান্ডা ভাড়া করে নিয়ে এসেছিলেন । তখন স্থানীয় দেওয়ান বাড়ির যুবকরা তা প্রতিহত করে।
চঞ্চল রাজের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ রয়েছে।
চঞ্চল রাজার বিষয় স্থানীয় লোক বলেন তিনি পর নারী আসক্ত তিনি প্রথম যাকে বিবাহ করেছেন সে ছিল অন্যের স্ত্রী তার জামাই ছিল জাপান সেই সুযোগে পরকীয়া করে বিবাহ করে। সেই ঘরে স্বপ্নীল রাজ নামে এক ছেলে সন্তান ও দুই মেয়ে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিবাহ করে অন্যের স্ত্রীকে। আগের জামাইকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় এবং পরকীয়ার করে বিবাহ করে। একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারি কেলেঙ্কারির।
হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ
বিগত কয়েক বছর আগেও তেমন কিছু ছিল না শ্বশুরবাড়ির অধীনস্থ ছিল। শ্বশুরবাড়ির জায়গা ভাগ পেয়ে শুরু করে রিয়েল এস্টেট বিজনেস। এই ব্যবসার পাশাপাশি অবৈধ ব্যবসা করে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক বনে যায়। এখন এলাকাবাসী ব্যবসায়ী মহল কাউকে তোয়াক্কা না করে তার অপকর্ম চারিদিকে চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেকেই বলেন রাতারাতি কিভাবে কোটিপতি বনে গেছেন ।হয়তোবা তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর আড়ালে অবৈধ কোন ব্যবসা রয়েছে ।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় দুজনের বিবাহিত স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার । হাজার হাজার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও গ্রামের কেউ মুখ খুলতে নারাজ কারণ তার অঢেল টাকা পয়সা রয়েছে।
ভুক্তভোগী এইচ এম ইমরান বলেন আমি দুপুরে খাবার খেতে হোটেলে যাই। চঞ্চল রাজের নির্দেশে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা দেড়শতাধিক সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী আমার হামলা চালায়। আমাদের গ্রামের নুর হোসেন মোল্লা সাধু সহ অন্যরা এগিয়ে এলে তারা দ্রুত চলে যায়। আমি চঞ্চল রাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই যাতে করে আর কোন ব্যক্তি সংবাদকর্মীর উপর হাত না তুলে। তিনি আরো বলেন মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিঘ্রই মামলা করা হবে।
চঞ্চল রাজ বলেন ইমরানের সাথে ফেসবুকে লেখা লেখি বেপার নিয়ে ঝামেলা হয় কিন্তু ওর উপর হামলার সাথে আমি জারিত নই। ইমরান যেই হোটেলে খেতে যায় সেই হোটেলের ২য় তলায় আমার অফিস।
এদিকে মানবাধিকার ও সংবাদ কর্মীর উপর হামলার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা দ্রুত অভিযুক্ত অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান।
আরো পড়ুনঃফ্লাইট টার্বুলেন্সে কী করবেন
Leave a Reply