মোঃ আরফানঃ রমজান মাসের শুরুতেই ওয়াসার পানি সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। নগরজুড়ে পানির তীব্র সংকটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ শনিবার (১৬ মার্চ ২০২৪ইং) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওয়াসার পানি সরবরাহ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এর আগে গত ৩ মার্চ ওয়াসার এমডি’র সাথে মতবিনিময়ে রমজানে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আশ্বাস দিলেও ওয়াসা কথা দিয়ে কথা রাখেনি বলে অভিযোগ করেন সুজন।
এ সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিপুল সংখ্যক নগরবাসীর পানির চাহিদার কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নতুন পানি শোধনাগার প্রকল্পের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছেন। অতীতের সরকারগুলো নগরবাসীর পানির চাহিদা মিটানোর জন্য কোন ধরণের বরাদ্দ না রাখলেও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ ছিল উল্লেখ করার মতো। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী পানির দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হবে ওয়াসা থেকে বারবার এমন বক্তব্য দিলেও নগরবাসী কিন্তু সুপেয় পানি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে রমজানের প্রথম দিন থেকে পানির জন্য বিপাকে পড়েছে নগরবাসী। সারাদিন অপেক্ষা করেও নগরীর অনেক এলাকায় পানির দেখা মিলছে না। বিশেষ করে নগরীর উঁচু এলাকায় পানির সংকট আরো বেশি। এমনকি ইফতার এবং সেহেরীর সময়ও পানির দেখা না পাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। বিশেষ করে নগরীর বাকলিয়া, বায়েজিদ, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, সরাইপাড়া, পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলী, আগ্রাবাদ, মুরাদপুরসহ অন্যান্য এলাকায় ওয়াসার পানি পাচ্ছে না বলে গ্রাহকের অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় ওয়াসার কোন দৌড়ঝাঁপও দেখছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন গ্রাহকবৃন্দ। অথচ ওয়াসা এ রমজানে গ্রাহকদের কষ্ট না পড়ার কথা বললেও সে কথা রাখেনি তারা। সুজন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী না চাইতে চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছেন। চট্টগ্রামের এতোসব বড়ো বড়ো প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একক অবদান। পাশাপাশি মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী অত্যন্ত সততা ও নিষ্টার সাথে তাঁর মন্ত্রণালয় পরিচালনা করছেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্বেও ওয়াসা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ বলে নগরবাসীর অভিযোগ। সুজন আরো বলেন, প্রকল্প গ্রহণের পূর্বে পানির উৎস, চাহিদা, বিপণন এবং পানির লবণাক্ততা এসব বিষয় বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর লবণাক্ততার জন্য পানি সংগ্রহ করতে না পারার কথাটা বলা শোভন নয়। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য ওয়াসার বিকল্প পন্থা খুঁজে বের করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, ওয়াসা পূর্বের প্রকল্পগুলোর সঠিক দেখভাল না করে নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণে উৎসাহিত হচ্ছেন। এতে করে পূর্বের প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও মন্তব্য সুজনের। তাই চলমান প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের পরামর্শও রাখেন তিনি। তিনি বলেন, আগামীকাল ১৭ মার্চ বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী। জাতির পিতার প্রতি সম্মান রেখে অন্তত ১৭ মার্চ নগরীর সকল গ্রাহক যাতে ওয়াসার পানি সরবরাহ পায় সে ব্যবস্থা করার জন্য ওয়াসার প্রতি আহবান জানান তিনি। পাশাপাশি গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে রেশনিং এবং ভাউচারের মাধ্যমে নগরবাসীর মাঝে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য ওয়াসার প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানান খোরশেদ আলম সুজন।
আরো পড়ুনঃর্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৮ লক্ষ টাকা জরিমানা
আরো পড়ুনঃবঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
Leave a Reply